ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনার নতুন রূপ দেখা গেছে বুধবার দিবাগত রাতে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও স্থানীয় প্রশাসনের বরাতে জানা গেছে, ভারত সীমান্ত পার হয়ে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফফরবাদ ও কোটলি অঞ্চলসহ পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থানে লক্ষ্যবস্তু করে মিসাইল হামলা চালিয়েছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া তথ্যমতে, হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৬ জন নিহত ও ৩৬ জনের বেশি আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২ জন শিশুসহ ৫ জন সেনাবাহিনীর সদস্য এবং বাকি সবাই বেসামরিক নাগরিক। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারত এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে, “এটি সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে পূর্ব-নির্ধারিত একটি টার্গেটেড স্ট্রাইক ছিল।” দিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পাকিস্তান এই হামলাকে তাদের সার্বভৌমত্বের গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করে কড়া নিন্দা জানিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “এই হামলা সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত অবস্থায় চালানো হয়েছে এবং এর মাধ্যমে বেসামরিক জনগণ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
জাতিসংঘ মহাসচিব উভয় দেশকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন এবং দ্বিপাক্ষিক সংলাপ শুরু করার তাগিদ দিয়েছেন। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকেও উদ্বেগ জানানো হয়েছে।
জাফফরবাদ ও কোটলি এলাকার বহু বাসিন্দা হামলার ভয়ে এলাকা ছাড়তে শুরু করেছেন। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।